পর্যটক টানছে ‘অচেনা দার্জিলিং’

মাতামুহুরী নদীটি বান্দরবানের আলীকদমের আরাকান পর্বত থেকে উৎপত্তি হয়ে লামা হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা ওপর দিয়ে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে মাতামুহুরী নদীর দুই পাশে উঁচু–নিচু পর্বতসারি, শীতের ঘনকুয়াশায় ঢাকা মেঘমালা। একটু দূরত্বে দেখা মেলে শ্বেতপাথরের বুক চিরে ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ঝরনার রক্তক্ষরণ। স্বচ্ছ-নীল জলের নদীতে ডিঙি নৌকায় ভাসতে ভাসতে আপনার মনে হবে এ এক অন্য রকম দার্জিলিং। যেখানে একসঙ্গে নীল জলরাশি, সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘমালার মিলনমেলা। বলছিলাম, কক্সবাজারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন রূপ–লাবণ্যে ভরা এক লীলাভূমির কথা। জায়গাটিতে একবার যাঁদের পা পড়েছে, তাঁদের অনেকের মুখে দার্জিলিংয়ের তুলনা। এখন বিপুল পর্যটক টানছে অচেনা এই দার্জিলিং। যদি বলি, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের রানী কক্সবাজারে কী নেই। একটু ভেবে নিয়ে বলতে হবে, সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন এখানে। প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন, আন্তর্জাতিক নদী নাফ, নাফ নদীর বুকে জালিয়ারদিয়ায় ট্যুরিজম পার্ক, মগ জমিদারকন্যা মাথিনের সঙ্গে সাহিত্যিক ধীরাজ ভট্টাচার্যের ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনির মাথিনকূপ, গহিন বন...